আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে দিন দিন বাড়ছে নির্বাচনি উত্তাপ। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই মাঠে সরব বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ছয়জন নেতা। অবশেষে সোমবার দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে। এতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. এম ওসমান ফারুক মনোনয়ন পেয়েছেন।
অন্যদিকে, শুরু থেকেই একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. জেহাদ খান। তিনি পরিচিত একজন খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ভোটের মাঠে আত্মবিশ্বাসী ডা. জেহাদ খান বলেন, ‘যদি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াত বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। জনগণের হৃদয়ে আমরা জায়গা করে নিয়েছি; আমাদের পরিশ্রমই বিজয় এনে দেবে।’
আসনজুড়ে দুই প্রার্থীরই রয়েছে ক্লিন ইমেজ। বিএনপির প্রার্থী ড. ওসমান ফারুক প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, আর জামায়াতের প্রার্থী ডা. জেহাদ জনসেবায় নিবেদিত চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। ফলে এই আসনে ভোটযুদ্ধ জমে উঠেছে শুরু থেকেই।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই করিমগঞ্জ ও তাড়াইলে বাড়ছে নির্বাচনি আমেজ। পোস্টার, মিছিল-মিটিং, গণসংযোগ ও প্রচারে মুখর পুরো এলাকা। ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনা ও আগ্রহ দুই-ই এখন তুঙ্গে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনটি হতে পারে সবচেয়ে আলোচিত আসনের একটি। একদিকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর প্রশাসনিক দক্ষতা ও জাতীয় পরিচিতি।অন্যদিকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও জনপ্রিয় চিকিৎসকের মানবসেবামূলক ভাবমূর্তি ভোটারদের মনে দুজনেরই শক্ত অবস্থান রয়েছে । শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই নির্ধারণ করবে মর্যাদাপূর্ণ এই আসনে কে বসবেন সংসদে।


