ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

আন্দোলনকারী প্রাথমিকের ৭ শিক্ষককে শোকজ 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
প্রাথমিকের ৭ শিক্ষককে শৌকজ। ছবি- সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সরকারি কর্মচারী আচরন বিধিপরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আন্দোলনকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষককে শোকজ দেওয়া হয়েছে। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তাদেরকে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চ: দা:) ফাতেমা ফেরদৌসী সাক্ষরিত পৃথক ৭টি চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন-রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার, সহকারি শিক্ষক প্রিয়াংকা রাণী ভৌমিক, ফেরদৌসি বেগম, জয়পুরা এসআরএমএস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন, সহকারী শিক্ষক নুরুন নাহার, মেহেদী হাসান ফরিদ ও মর্জিনা আক্তার।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, শিক্ষক আবুল বাশার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত প্রেস ব্রিফিং করেছেন৷ এটি সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিপরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষক মকবুল হোসেন, সহকারী শিক্ষক নুরুন নাহার, মেহেদী হাসান ফরিদ ও মর্জিনা আক্তারকে শোকজ করা হয়।

এ ছাড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষক প্রিয়াংকা রাণী ভৌমিক ও ফেরদৌসি বেগমকে শোকজ করা হয়েছে। তারাও সরকারি কর্মচারি আচরণ বিধিপরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা বর্জন করেছেন। এতে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

শিক্ষক আবুল বাশারকে দেওয়া শোকজপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ (পরিমার্জিত সংস্করন) অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত আদেশ অমান্য করে আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন যা সরকারি কর্মচারী আচরন বিধিপরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি গত ১ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত প্রেস ব্রিফিং করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ২২ এর পরিপন্থী।

আপনি ২ ডিসেম্বর ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা বর্জন করেছেন, এতে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যেহেতু আপনার এই ধরনের কার্যকলাপ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলা, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ অমান্যের সামিল এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এ ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌসী বলেন, শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সরকারি সরকারি কর্মচারি আচরণ বিধিপরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের আচরণ দায়িত্ব কর্তব্য পালনে চরম অবহেলা ও অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং আদেশ নির্দেশ অমান্যের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কেনো সুপারিশ করা হবে না তার গ্রহণযোগ্য লিখিত জবাব পত্র জারির ৩ কর্মদিবসের মধ্যে আমার কাছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।