সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম

অপহরণের পর খুন : ২ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে দাফনের প্রায় দুই মাস পর মহসিন কবির নামের এক সৌদি প্রবাসীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মতলবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, সৌদি আরবে তাকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মৃত মহসিন সদর মতলবপুর গ্রামের মাওলানা মো. নুরুল্লাহর ছেলে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর মহসিন একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরির উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। সেখানে তার মালিক মোরশেদ আলমের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে তার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন তাদের দ্বন্দ্ব চলে। এর মধ্যেই চলতি বছরের ১৭ আগস্ট মহসিন সেখানে অপহরণের শিকার হন। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ ছিল। ঘটনার কয়েকদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর মরদেহ দেশে আসে। মরদেহ গ্রহণের সময়ই পরিবার সন্দেহ করে মহসিনের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করে পরিবার। পরে ২২ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী রওশন আক্তার বাদী হয়ে মোরশেদ আলমসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত মোরশেদ সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হাসন্দি এলাকার বলের বাড়ির মৃত সিরাজ উল্যার ছেলে। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন: মোরশেদের স্ত্রী রোকসানা আক্তার, আত্মীয় মো. হাছিব, মো. রায়হান। তারা হাসন্দি এলাকার বাসিন্দা।

প্রতিবেশী আবু সাঈদ বলেন, ‘মহসিন সৌদি যার কাছে গেছে সে-ই তাকে অপহরণ করে অন্যদের দিয়ে হত্যা করিয়েছে। তার স্বাভাবিক মৃত্যুর যে ময়নাতদন্ত দিয়েছে তাতে আমাদের সন্দেহ হয়। পরিবারের লোকজন, সৌদিতে থাকা স্বজন ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে না জানিয়েই দেশে মরদেহ পাঠিয়ে দিয়েছে। এজন্য আমাদের সন্দেহ মোরশেদই খুনি। এজন্য আমরা মামলা করেছি।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভি দাশ বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!