ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

আমন ক্ষেতে পোকার তাণ্ডব, কৃষকরা হতাশ

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চলতি মৌসুমে আমন ধানের ক্ষেতে দেখা দিয়েছে পাতা মোড়ানো, কারেন্ট ও মাজরা পোকার আক্রমণ। নানান কীটনাশক ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। অতিরিক্ত ব্যয় ও সঠিক পরামর্শের অভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষক।

চলতি মৌসুমে লালমনিরহাট জেলায় ৮৬ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। লক্ষ্য ছিল ৮৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর। কিন্তু ফসলের ভালো সময়েই দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কৃষকদের মধ্যে।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় তেমন উল্লেখযোগ্য পোকার আক্রমণ নেই। নিয়মিত মাঠে কাজ করছে তাদের টিম।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি, গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর, সাপ্টিবাড়ি, ভেলাবাড়ি ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ধানের জমিতে এখন পোকার দাপট স্পষ্ট। পাতাগুলো মোড়ানো, গাছের মাঝখান ফাঁপা অনেক জায়গায় ফসল একেবারে শুকিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় হারাটি এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, দুই-তিনবার কীটনাশক দিছি, তাও পোকা কমে না। এক বিঘা জমিতে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা বাড়তি খরচ হইছে। এখন চিন্তা হয় ধান কাটতে পারমু তো?

সারপুকুর গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, কীটনাশকের দোকানে গিয়ে বললে একেকজন একেকটা ওষুধ দেয়। কোনটা কাজ করে, কোনটা নষ্ট করে বুঝতে পারি না। কৃষি অফিসে গেলে অনেক সময় পাই না।”

কালীগঞ্জের কাকিনা এলাকার আহেদুল ইসলাম জানান, ধানের দাম ঠিক নাই, তার উপর আবার পোকা। এইভাবে চললে কৃষক ধান চাষ করতে ভয় পাইবো।

কৃষকদের অভিযোগ, মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পাওয়ায় একাধিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে প্রতি বিঘায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপ-পরিচালক, ড. সাইখুল আরেফিন বলেন, ‘এ মৌসুমে আমাদের মাঠ পর্যবেক্ষণে বড় ধরনের পোকার আক্রমণ পাওয়া যায়নি। কিছু এলাকায় কারেন্ট ও মাজরা পোকার উপস্থিতি আছে, সেগুলোতে আমাদের ব্লক সুপারভাইজাররা পরামর্শ দিচ্ছেন। একইসঙ্গে কীটনাশক কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম আমরা মনিটরিং করছি।’