মাদারীপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, তারুণ্যের আইডিয়া প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত অফিস ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. ইয়াসমিন আক্তার।
এ সময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। সভা শেষে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। এরপর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকালে শহীদ তাওহীদ সন্নামতের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার। একই সময়ে জেলার অন্যান্য ১৭ শহীদের সমাধিতেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এবং তাদের জীবনযাত্রা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার জানান, ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদদের নাম সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শহীদ তাওহীদের বাড়ির যাতায়াত সড়কের ব্রিজ ও রাস্তা নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। পাশাপাশি শহীদদের কবর বাঁধানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।’
এ সময় পুলিশ সুপার নাঈমুল হাসান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার বাদী হয়ে যে মামলাগুলো করেছেন, তা তদন্তাধীন রয়েছে এবং পুলিশ সক্রিয়ভাবে বিষয়টি দেখছে।’
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, যেখানে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কোটাবিরোধী সংস্কার আন্দোলনের সময় মাদারীপুরে ৩ জন এবং রাজধানী ঢাকায় মাদারীপুর জেলার আরও ১৪ জনসহ মোট ১৭ জন নিহত হন। এসব ঘটনার পর মাদারীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :