বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় মাফিয়াদের গুলিতে ৩ বাংলাদেশি নিহত

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

নিহত তিন বাংলাদেশি যুবক।

নিহত তিন বাংলাদেশি যুবক।

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিন বাংলাদেশি। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় গুলি করলে প্রাণ হারান মাদারীপুরের ইমরান, মুন্না আর বায়েজিত।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামে তাদের মৃত্যুর খবর পৌঁছালে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ঘটনায় দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

স্বজনরা জানান, একটু ভালো থাকার আশায় অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে গত ৮ অক্টোবর বাড়ি ছাড়েন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের হাজী মো. তৈয়ব আলী খানের ছেলে ইমরান খান।

সরাসরি ইতালি পৌঁছে দেবে, এমন শর্তে প্রতিবেশী ও মানবপাচার চক্রের সদস্য শিপন খানের সঙ্গে ২২ লাখ টাকায় চুক্তি হয়। কিন্তু ইমরানকে লিবিয়ায় আটকে নির্যাতন করে পরিবার থেকে আরও ১৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়। শেষে ১ নভেম্বর লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করলে ভূমধ্যসাগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ইমরান। পরে মঙ্গলবার ইমরানের মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।

শুধু ইমরান নয়, একইভাবে গুলিতে ওই দিন নিহত হন রাজৈর উপজেলার দুর্গাবদ্দী গ্রামের ইমারাত তালুকদারের ছেলে মুন্না তালুকদার ও একই উপজেলার ঘোষলাকান্দি গ্রামের কুদ্দুস শেখের ছেলে বায়েজিত শেখ।

তিন যুবকের মৃত্যুর পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় সাগরে। ঘটনা জানাজানি হলে ঘরে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা দালালচক্রের পরিবারের লোকজন।

তবে শিপনের স্বজনদের দাবি, এই ঘটনায় জড়িত নন শিপন। জোর করে কারও পাসপোর্ট নেননি শিপন।

অভিযোগ উঠেছে, কয়েক বছর ধরে লিবিয়ায় অবস্থান করছেন শিপন। এরপর আত্মীয়–স্বজনদের মাধ্যমে এলাকার যুবকদের খুব সহজে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেন তিনি। এর আগেও মৃত্যুর মতো এমন ঘটনা ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন অভিযুক্ত।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘লিবিয়ায় গুলিতে তিন যুবকের নিহত হওয়ার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দালালদের কোনো প্রকারেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

Link copied!