বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি কাজল ও অজয় দেবগনকে দেখে অনেকেই ভাবেন, ‘এরা বুঝি আদর্শ জুটি।’ কিন্তু কাজলের মতে, ‘আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।’ এই অকপট স্বীকারোক্তি যেন মুহুর্তেই এই জুটির প্রেমগাঁথা নিয়ে প্রচলিত চিরাচরিত ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিল।

১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যখন কাজল জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন, তখন অনেকেই বলেন-এতটা তাড়াহুড়ো কেন? পাত্র অজয় দেবগনকে ঠিক মনে ধরেনি তার পরিবারের। এমনকি বাবা শমু মুখার্জী তো চারদিন কথাই বলেননি আদরের কন্যার সঙ্গে।

যদিও শেষমেশ ঘরোয়া আয়োজনে বিয়েটা হয়েই গিয়েছিল। সে বিয়ে এখন ২৫ বছরের পুরনো। অথচ কাজল আজও বলেন, ‘আমরা একে অপরের থেকে অনেকটা আলাদা। দেখতে গেলে, আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।’
বলিউডের কারও কারও মতে, কাজল আর অজয় দেবগনের সংসার অনেকটা ‘ডিভোর্সের ম্যাচ ফিক্সিং’-এর মতো, যেটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল, কিন্তু কখনো সেই খেলা শুরুই হয়নি। উল্টো তারা একসঙ্গে কাটিয়ে দিলেন ২৫টা বছর!

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাজল দাম্পত্য জীবনের টিকে থাকার রহস্যের মজার ব্যাখ্যা দিলেন-‘দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকতে চাইলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে হয়। ভুলে যাওয়ার রোগ থাকতে হয়। আর কখনও কখনও কানে কম শুনতে হয়।’

অর্থাৎ, কাজল নিজেই শিখিয়ে দিলেন-সুখের সংসার মানেই সব কথা শোনা যাবে না, সব কথা মনে রাখাও যাবে না।

বলিউড পাড়ায় এখন কানাকানি চলছে-অজয়-কাজল কি তাহলে ভুলে যাওয়ার কৌশলে টিকে গেলেন? নাকি কান কম শুনে পাশ কাটালেন সব ঝামেলা? অনেকে তো বলেই বসেছেন-এটাই বুঝি অজয়-কাজল জুটির ‘সিক্রেট রেসিপি’
আপনার মতামত লিখুন :