গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত দেশটির ৮৮০ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৮৪৪ জন।
সোমবার (৩০ জুন) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সরকারি বেতার সংবাদমাধ্যম কান।
সর্বশেষ রোববার গাজার জাবালিয়া শহরে এক বিস্ফোরণে আরও একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় ৫৬ হাজার ৩৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন। নিহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
দীর্ঘ ১৫ মাস অভিযান চালানোর পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তবে সেই যুদ্ধবিরতি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গত ১৮ মার্চ আইডিএফ দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরু করে।
দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় আরও ৬ হাজার ৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২০ হাজার ৫৯১ জন।
হামাস যাদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আইডিএফ বলছে, সামরিক অভিযান চালিয়েই জিম্মিদের মুক্ত করা হবে।
গাজায় সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল করা এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ সংক্রান্ত একটি মামলাও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ফের দুই মাসের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। তবে এখনো হামাস বা ইসরায়েল কেউই সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :