মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার লাতু সীমান্ত দিয়ে ৫ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভোরে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন লাতু বিওপির দায়িত্বপূর্ণ কুমারশাইল সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিলেন। দুইজন এক সপ্তাহ আগে এবং বাকি তিনজন ৩-৫ দিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, ময়মনসিংহ ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে, পরে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে।
বিজিবি জানায়, আটকরা মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে সবাই নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করেছেন। পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে লাতু সীমান্ত থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি এবং পুশইন প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরেছেন।’
বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, ‘আটক ৫ জনের মধ্যে ২ জন কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ জনের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা এলে আইনানুগভাবে তাদের হস্তান্তর করা হবে।’
গত কয়েক মাসে বড়লেখা-লাতু সীমান্তসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে পুশইনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। নারী, শিশু ও বিভিন্ন বয়সি মানুষ নিয়মিত এভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পুশইনের শিকার হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, এ ধরনের পুশইন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও কূটনৈতিক চুক্তির পরিপন্থী। বিষয়টি দ্রুত কূটনৈতিকভাবে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আপনার মতামত লিখুন :