মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গেন্ডারি খেতে শিয়াল তাড়ানোর ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহিন (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন।
শাহিন টেংগারচর ইউনিয়নের টেংগারচর গ্রামের মো. জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় সংসারের ছেলে। তিনি মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ি হোসেন্দি ইউনিয়নের ইসমানিচর গ্রামে বসবাস করতেন।
তিনি গজারিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলসকান্দি গ্রামের মো. মিন্টু মিয়ার গেন্ডারির জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার এশার নামাজের পর থেকে শাহিনকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার মা। সারারাত তিনি স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সন্ধান পাননি।
নিহতের মা শিল্পী আক্তার (৪০) বলেন, ‘সারারাত খুঁজেছি, পাইনি আমার শাহিনকে। পরে আজ সকালে আমার বোনের বাড়িতে খুঁজতে নাগের চর গেলে তাদেরও সে যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেলাম আমার ছেলের লাশ গেন্ডারি খেতে পড়ে আছে।’
হোসেন্দি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. কিরন হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশকে অবহিত করেন। আখখেতের মালিকের ছেলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নিষেধ করলেও বাবা তা দিয়েছেন।
আখখেতের মালিক মো. মিন্টু মিয়ার বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। বসতঘরে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদরে পাঠিয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ মামলা দায়ের করেনি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হোসেন্দি ইউনিয়নে রাজনৈতিক কারণে দুটি গ্রুপ সবসময় সক্রিয় থাকে। বিগত সময়ে এখানে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাই স্থানীয়রা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, শাহিন কি সত্যিই গেন্ডারি খেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন, না কি অন্য কোনো বিষয় রয়েছে।