দীর্ঘ অপেক্ষা ও নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর-গজারিয়া) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৬টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। সেখানেই মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রতনকে প্রার্থী ঘোষণা করায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে উচ্ছ্বাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হন কামরুজ্জামান রতন। রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা ও আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার কারণে জীবনের বহু সময় তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। বিএনপি সূত্র মতে, রাজনৈতিক আক্রোশবশত একাধিক মামলায়ও তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভেতরে তাকে মেধাবী, পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতার ‘রোল মডেল’ হিসেবে দেখা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যখন অনেক নেতা ঢাকায় লবিয়িংয়ে ব্যস্ত ছিলেন, তখন রতন মাঠে থেকে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গজারিয়া ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে মানুষের খোঁজখবর নেওয়া, দুর্দশা শোনা ও সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, রাতে মসজিদ–মাদ্রাসা ও কবরস্থানে সোলার প্যানেল স্থাপন, জেলেদের মাঝে জাল বিতরণ, নারীদের সেলাই মেশিন প্রদান, কৃষকদের বীজ বিতরণ, শীতার্তদের কম্বল বিতরণ, প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার প্রদানসহ নানা উদ্যোগে তিনি সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন। অনেকেই তাকে ‘এই যুগের হাতেম তাই’ বলেও ডাকেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, রতন যেখানে যান—নামাজের সময় হলে তিনি নিজে নামাজ পড়েন এবং সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদেরও জামাতে অংশ নিতে উৎসাহিত করেন। বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, ‘রতন ভাই এমপি হোন বা না হোন—তার সঙ্গে চললে কেউ খারাপ হবে না। অন্তত আমরা নামাজ পড়তে শিখেছি।’
কামরুজ্জামান রতন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাড়া গ্রামের সন্তান। তার বাবা ছিলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, রাজধানীর একটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসেন।
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
-20251204171719.webp "গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি- সংগৃহীত")
-20251203221210.webp)
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন