বসুন্ধরা গ্রুপের কিছু মিডিয়াকে সরাসরি ‘ফ্যাসিবাদের তাবেদার’ আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, হাসিনার শাসনামলে রাষ্ট্র যখন হয়ে উঠেছিল জনতার শত্রু, তখন এসব মিডিয়া শুধু চুপ ছিল না, তারা সক্রিয়ভাবে ফ্যাসিবাদকে সার্ভিস দিয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) রাতে দেওয়া ফেসবুক দেওয়া এক এসব কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, তারা মিথ্যা প্রচার করেছে, প্রতিবাদী ছাত্রদের নামে কুৎসা রটিয়েছে, ভিডিও এডিট করে বাস্তবতা পাল্টে দিয়েছে। এমন ভয়ংকর প্রোপাগান্ডা মেশিন চালু রেখেছে, যা ভিন্নমতকে গুলি করেছে, চুপ করিয়ে দিয়েছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বসুন্ধরার কিছু গণমাধ্যম এখনো থামেনি। আজও তারা সেই একই কায়দায় নাগরিক পার্টি ও তার সদস্যদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে, যেটা এক চেনা strategy. উদ্দেশ্য একটাই: যারা পরিবর্তন আনতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়ে কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষা করা।
তিনি আরও বলেন, এটা সাংবাদিকতা নয়, এটা ডার্ক অপারেশন— মিথ্যা আর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণকে ঠকানোর অপারেশন
হাসনাতের ভাষ্য অনুযায়ী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানেই দায়বদ্ধতা, সত্যের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং জনগণের প্রতি জবাবদিহি।
এনসিপির এই নেতা হুঁশিয়ার করে বলেন, আমরা প্রতিটি মিথ্যা, অপপ্রচার ও সাংবাদিকতার নামে অন্যায় document করছি। যদি এসব মিডিয়া সংবাদপত্র না হয়ে রাজনৈতিক অস্ত্র হয়, তাহলে তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতেই হবে।
পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ঊর্ধ্বে নন। আর সত্যের ঊর্ধ্বে তো ননই। জীবন থাকতে বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনো পুনর্বাসন আমরা হতে দেব না।