বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

আ.লীগের সাবেক এমপি তুহিনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। ছবি- সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। ছবি- সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইলে হিন্দু ব্যক্তিকে প্রকল্পের সভাপতি করে ওয়াজ মাহফিলের টাকা লুটপাটের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

অনুসন্ধানের নয় বছর পর মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ময়মনসিংহ জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এর আগে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রকল্প কার্যক্রম তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে ২০১৭ সালে মামলা করার অনুমতি চেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করে জেলা কার্যালয়।

মামলার আসামিরা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবিএম সিরাজুল হকসহ ১১ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানগণ।
 
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ১৩২ টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৩৬৪ মেট্রিক টন জিআর চাল, যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৯৭২ টাকা এবং ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ২২৮টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৪৭১ মেট্রিক টন জিআর চাল যার, আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫১ টাকা আসামিরা লুটপাট করেছে।

এর মধ্যে ৩৭৮টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রত্যেক প্রকল্পের সভাপতি ওয়াজ মাহফিল/ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুলেখ অনুষ্ঠানভেদে ৩/২/১ মেট্রিক টন হারে চাল উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন।

আবেদনপত্রগুলোতে সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান (তুহিন), উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ শনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটি একটি ব্যবহারিক প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেন। 

প্রকল্পসমূহ অনুমোদনে পিআইও অফিসের সমন্বয় রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাপনায় বিধি মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট উপস্থাপন করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুমোদন করেছেন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবিএম সিরাজুল হক প্রকল্প বাস্তবায়নকারী হিসেবে উল্লিখিত রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করেন।


 
অভিযোগ অনুসন্ধানকালে ৩৭৮ জন প্রকল্প সভাপতির মধ্যে ১২০ জন প্রকল্প সভাপতির বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। প্রত্যেক প্রকল্প সভাপতি জানান, তারা কোন ওয়াজ মাহফিল/ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুক‚লে অনুষ্ঠানভেদে ৩/২/১ মেট্রিক টন হারে চাল উত্তোলনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেননি। 

আবেদনপত্রে তাদের ছবি সংযোজনের বিষয়েও তারা অবগত নন। এতে প্রমাণিত হয় বর্ণিত আবেদনগুলো ভুয়া এবং তা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।

মামলার বাদি ময়মনসিংহ জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সত্যতা পাওয়ার পর মামলার জন্য প্রধান কার্যালয়ে ২০১৭ সালে আবেদন করা হয়। গত ২০ জুলাই মামলা করতে প্রধান কার্যালয় থেকে নির্দেশনা আসলে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মামলা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এখন মামলাটি আরও অধিকতর তদন্ত করা হবে। এখানে যদি আরও কারও দায় থাকে তাহলে তাদেরকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

Shera Lather
Link copied!