ময়মনসিংহের তারাকান্দায় হেনস্তা করে বৃদ্ধ হালিম উদ্দিন আকন্দ ফকিরের চুল ও দাড়ি কাটার মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন উপজেলার কাশিগঞ্জ এলাকার মৃত রজব আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৪৭) ও একই এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়াকে (৩০)।
বুধবার (০৮ অক্টোবর) বিকালে আসামিদের আদালতে তোলা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাছিমা খাতুন দুজনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চিফ জুডিশিয়াল আদালতের পরিদর্শক পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান রুপালী বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১ অক্টোবর (বুধবার) বিকালে আসামিদের রিমান্ড আবেদন করে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হলে বিচারক তানজিনা ইসলাম রিমান্ড শুনানির ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে ও রাতে ময়মনসিংহ নগরীর থেকে প্রথমে আসামি মজনু মিয়া (৪৭) এবং পরে মো. সুজন মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখা যায়, রাস্তায় জটাধারী একজন মধ্যবয়স্ক লোককে ধরে তার মাথার চুল কেটে দিচ্ছে কয়েকজন। নিরূপায় লোকটি 'আল্লাহ তুই দেহিছ' বলে বিচার চাচ্ছে।
ভুক্তভোগী হালিম উদ্দিন আকন্দ অভিযোগ করেন, ওই দিন (ঘটনার দিন) আমি বাজারে গেলে তারা আমাকে জোর করে ধরে আমার চুল ও দাড়ি কেটে দিয়েছে। বাজারে তখন লোক কম ছিল। আমি চেষ্টা করেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। তখন আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। এখনও আল্লাহার কাছে বিচার চাই। তবে পরিবারের কথায় এখন আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি, দেখি তারা কী বিচার করে। তিনি আরও বলেন, আমার চুল দাড়ি কাটার সময় বাইরের দুজন লোকসহ প্রায় ৮ থেকে ৯ জন লোক ছিল। তাদের মধ্যে এলাকার নয়ন এবং মজনুও ছিল। তারা এখনো এলাকায় আছে। তারা আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। তারা আমার মান ইজ্জত মারছে, আমি বিচার চাই।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বেলা পৌনে ৩টার দিকে তারাকান্দা থানায় ভুক্তভোগীর ছেলে মো. শহীদ আকন্দ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। জটাধারী হালিম আকন্দ উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।