ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

নওগাঁয় কনস্টেবলকে মারধর, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ১০:২৮ এএম
নওগাঁয় কনস্টেবলকে মারধর। ছবি- সংগৃহীত

নওগাঁ শহরের ব্যস্ততম মুক্তির মোড়ে দায়িত্ব পালনরত এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একদল যুবক পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছে এবং বিএনপি নেতা রিপন একাধিকবার কনস্টেবলকে আঘাত করছেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে, যখন শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ট্রাফিক ডিউটিতে ছিলেন। সে সময় জেলা ছাত্রদলের একটি মিছিল ওই সড়ক দিয়ে অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান রিপন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে যানজটের সৃষ্টি করেন।

কনস্টেবল তাকে এবং রিকশাটিকে সরে যেতে বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে গালাগাল ও চড়-থাপ্পড় দিয়ে কনস্টেবলকে লাঞ্ছিত করেন।

ভুক্তভোগী কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম বলেন, রিকশাকে সরাতে বলার কারণে রিপন আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন এবং দুই গালে কয়েকবার চড় মারেন। তিনি জানতে চান আমি কোথায় থাকি এবং আমাকে নওগাঁ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ ঘটনায় কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, যেখানে মামুনুর রহমান রিপনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুমন রঞ্জন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকেই মামুনুর রহমান রিপন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মামুনুর রহমান রিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, মামুনুর রহমান রিপন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে যুগ্ম আহ্বায়ক। তার এমন আচরণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি জানেন।

উল্লেখ্য, মামলার এজাহারের সঙ্গে ঘটনার ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে মারধরের দৃশ্য পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে, যা জনমনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।