ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

পুলিশের জোগসাজশে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
অভিযুক্ত মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলু রহমান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নওগাঁর মান্দায় ৩ মাস আগের দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে জখম দেখিয়ে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলু রহমানের জোগসাজশে এমন সাজানো ঘটনায় মামলা নেওয়ার পর ভুক্তভোগী রায়হান আলীর বড় ভাইয়ের ১৬ বছরের মেয়েকে ২০ বছর দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের টাকা না পেয়ে ও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে পারিবারিক ঝামেলায় নাবালিকা মেয়েকে ফাঁসিয়েছে মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলু রহমান। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রায়হান আলী পেশায় সাংবাদিক হওয়ায় উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এসআই ফজলু রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম ও এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতেন। এতে ক্ষুব্ধ হন এসআই ফজলু। পারিবারিক ঝামেলার সুযোগ নিয়ে ফাঁসিয়ে দিলেন নাবালিকা মেয়েকে। সম্প্রতি পুলিশের এমন কাণ্ডে এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

ভুক্তভোগী রায়হান আলী বলেন, ‘আমার পারিবারিক মারপিটের ঘটনার সঙ্গে আহত রেজাউলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রেজাউল ইসলাম চট্টগ্রামে কাজ করতে গিয়ে মামলা হওয়ার তিন মাস আগে পায়ের দুটি আঙুল হারায়। সেখানে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে এলাকাতে চলে আসে রেজাউল। এরপর গোপালপুর বাজারে ডাক্তার মনিরুল ইসলামের কাছে নিয়মিত ড্রেসিং করান। কাজ করতে গিয়ে আহত রেজাউল ইসলামকে দিয়ে নাটকীয়ভাবে থানায় মামলা করানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে বারবার জানানো হলেও আমলে নেয়নি তারা। টাকা নিয়ে এসআই ব্যক্তিগত আক্রোশে মিথ্যা মামলা জুড়ে দিয়েছেন। আমার ভাতিজির বয়স ১৬ বছর তদন্ত না করে তাকে ২০ বছর দেখিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতা দেলোয়ার গংকে খুশি করতে মিথ্যা মামলায় আমার মা ও ভাতিজিকে আটক করে পুলিশ।’

এ ব্যাপারে পরানপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানি। রেজাউল চট্টগ্রামে কাজ করতে গিয়ে পায়ের দুটি আঙুল হারিয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসী সহযোগিতা করেছেন।’

মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলু রহমান বলেন, ‘আমি এজাহার দেখে মেয়ের বয়স দিয়েছি। এ ছাড়া মেডিক্যাল থেকে তারা এমসি এনেছে।’

কোনো তদন্ত ছাড়া শুধু এজাহার দেখে বয়স নির্ধারণ করা যায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান। দুর্ঘটনায় আহত যুবক সম্পর্কেও তিনি কথা বলেননি।

এ বিষয়ে মান্দা থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, মামলার আয়ু যেহেতু ফজলু, সেহেতু তিনি ঘটনা সব কিছু জানেন। তদন্ত না করে নাবালিকাকে তার ইচ্ছে মতন বয়স বাড়িয়ে সাবালিকা বানালে এর দায় তাকে নিতে হবে।