ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫

ফতুল্লায় চতুর্থ বিয়ে করতে স্বামীর বিরুদ্ধে তৃতীয় স্ত্রীকে মৃত দেখানোর অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
ফতুল্লা মডেল থানা। ছবি- সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় শাহজাহান (৫৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চতুর্থ বিয়ে করতে তৃতীয় স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে সনদ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সনদ ব্যবহার করে স্ত্রীকে ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে তৃতীয় স্ত্রী সীমা আক্তার (৩৮) ফতুল্লা থানায় স্বামী শাহজাহান, ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জু এবং তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার শিহাচর এলাকার মৃত ইউনুস ঢালীর ছেলে শাহজাহানের সঙ্গে নয় বছর আগে সীমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে তিনটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। সীমাকে বিয়ের আগে শাহজাহান আরও দুটি বিয়ে করলেও সে বিষয়টি গোপন রেখেছিল। পরে নানা কৌশলে ওই দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে।

সম্প্রতি সীমাকে মৃত দেখিয়ে চতুর্থ বিয়ে করতে শাহজাহান কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন আক্তারের মাধ্যমে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জুর কাছ থেকে ‘মৃত সনদ’ গ্রহণ করেন। সেই সনদ উপজেলা নির্বাচন অফিসে দাখিল করে সীমা আক্তারকে ভোটার তালিকায় মৃত হিসেবে দেখান। বিষয়টি জানতে পেরে সীমা নির্বাচন অফিসে গিয়ে মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করে থানায় অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জু বলেন, ‘ভোটার হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন প্রতিদিনই শত শত লোকের আবেদনে সই নিতেন। সে প্রতিটি আবেদন যাচাই বাছাই করে আমার কাছে নিয়ে আসতেন। তাকে বিশ্বাস করে সই করে দিতাম। আমার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে শাহজাহানের আবেদনে সীমাকে মৃত দেখিয়ে সই নিয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন অফিসে আলোচনা করে সমাধান করবো।’

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সীমা আক্তারের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্তের জন্য এসআই শুভঙ্করকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর মামলা নেওয়া হবে।’