ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

সোনারগাঁয়ে জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পথচারী

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নালা তৈরির নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন স্থানে কাদা মাটিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। 

গত এক মাস ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর অজুহাতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে সামন্য বৃষ্টি হলেই ওই এলাকায় চলাচল করতে গিয়ে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জলাবদ্ধতায় সৃষ্ট গর্তে গাড়ি উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এ ছাড়াও একটু ভারি বৃষ্টি হলেই আশপাশের কয়েকটি মার্কেটের দোকানে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে দোকান মালিকদেরও ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পানি নিষ্কাষণের জন্য ফুটওভার ব্রিজ থেকে শুরু করে শহীদ মজনু পার্ক পর্যন্ত নালা ও গুরুত্বপূর্ণ ৪টি স্থানে আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। পরে হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পান। তার মধ্যে নালা তৈরিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পাওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নির্মাণকাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাজের শুরু থেকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। 

মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার আইয়ুব প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, নির্মাণকাজ ধীরগতি হওয়ার কারণে মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। সামান্য বৃষ্টির পানি জমে এ এলাকায় একাকার হয়ে পড়েছে। পানি জমার কারণে এ পথ দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না।  

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ওষুধ ব্যবসায়ী রিপন হোসেন বলেন, পুরো মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বৃষ্টির পানি মহাসড়ক হয়ে নেমে জলাবদ্ধতা হয়। ময়লা-আবর্জনা পানিতে মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। পানি নামার ব্যবস্থা না রাখার কারণে এ অবস্থা হয়েছে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে তারা নির্মাণকাজ করছেন। নালা তৈরির কাজ শেষের দিকে। পল্লী বিদ্যুতের চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরানোর কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। খুঁটি সরালেই নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। 

সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম বলেন, খুঁটি সরানো আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ধীরগতি হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে খুঁটি সরিয়ে নেওয়া হবে। 

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। নির্মাণকাজের সাইডে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতে আবেদন করা হয়েছে। খুঁটি সরিয়ে নিলেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।