মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

রূপগঞ্জে ৪০ শিক্ষার্থীকে পেটানোর সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকরা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

রূপগঞ্জের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলামকে মারধর করছে শিক্ষার্থীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রূপগঞ্জের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলামকে মারধর করছে শিক্ষার্থীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রূপগঞ্জের একটি স্কুলে ৪০ শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে শিক্ষকের উসকানিতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

রূপগঞ্জের (পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টর) জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সাংবাদিক ও অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষকের উসকানিতে অন্যরা তাদের ওপর হামলে পড়ায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওই স্কুলের ক্লাস শিক্ষকের পাঠ বুঝতে না পারায় শিক্ষক পরিবর্তনের আবেদন করায় সপ্তম শ্রেণির প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটান ওই শিক্ষক। সোমবারের ওই ঘটনায় অন্তত ৩ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে ওই ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীরা খোঁজ নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করান শিক্ষকরা। এতে অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চুর প্রভাব খাটিয়ে ৫ আগস্টের পর তার ভাগনে তানভীর হোসেন মুন্নাকে অফিস সহকারী হিসেবে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মুন্না সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস নিতে শুরু করেন।

শিক্ষার্থীরা তার পাঠ স্পষ্টভাবে বুঝতে না পেরে প্রধান শিক্ষকের কাছে তাকে পরিবর্তনের আবেদন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্না ক্লাসে উপস্থিত প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। ওই মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তাসরিম, কেয়া তাবাসসুমসহ কয়েকজন।

স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, মঙ্গলবার সকালে আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ সময় শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দিলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি নেতা বাচ্চুর নির্দেশেই শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেয়। এ সময় ছাত্ররা লাঠিসোটা হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এতে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার রাকিবুল ইসলাম, একাত্তর টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট হাফিজুর রহমান, অভিভাবক ওমেদ আলী, যমুনা টিভির প্রতিনিধির গাড়িচালক ইকবাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবায়দুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর কেন শিক্ষক উত্তেজিত হয়েছেন, বুঝতে পারছি না। তা ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর কেন শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে আমরা অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করব। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তানভীর হোসেন মুন্না পলাতক রয়েছেন। অভিভাবকরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

Shera Lather
Link copied!