ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

যুবদলের আবাদী জমিতে ধানের চারা রোপণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ:
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে আবাদী জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল হোসেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রোহিলা এলাকায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে স্থানীয় শত শত কৃষকের আবাদী জমি তলিয়ে গেছে। ধানের চারা রোপণ ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ার কারণে কৃষকরা দিন কাটাচ্ছেন হতাশায়।

স্থানীয়রা জানান, অতি বৃষ্টির পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুইচগেট থেকে নদীতে পানি নিষ্কাশন ঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে রোহিলা, বাঘপাড়া, আগলাসহ অন্তত পাঁচটি মৌজার ৫শ’ একর জমি জলমগ্ন হয়ে ফসলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও রূপগঞ্জ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ দুলাল হোসেন। শনিবার সকাল থেকে তিনি স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে আবাদী জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন এবং বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কৃষকদের সহায়তা করা হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক সালাম, আজীজ, আফজাল, আজগর, আল আমীন সহ ভুক্তভোগীরা জানান, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়ে এলাকার আবাদী জমি গুলো আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে এলাকার কৃষকরা ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরে এলাকার সবাই মিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল হোসেনের কাছে গেলে তিনি সবার কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে কথা বলে পানি সেচের মাধ্যমে জলবদ্ধতা নিরসন করেন।

আজ শনিবার এলাকার কৃষকদের সাথে নিয়ে কৃষি জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন। এর আগে তিনি এলাকার কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সার ও বীজ উপহর দেন। ঘরে ঘরে এমন নেতার জন্ম হলে কৃষকের কোন দুঃখ থাকবে না।

নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রকিবুল আলম রাজিব বলেন, প্রকল্পটি নরসিংদী সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ছিল। গত জুন মাসে আমরা তার দায়িত্ব পাই। কলিঙ্গায় সুইচ গেটে পানি নিষ্কাশনের জন্য ১০টি পাম্প রয়েছে। তবে, এখানে বিদ্যুৎ সমস্যা খুবই জটিল একটি বিষয়। বিদ্যুতের সমস্যা না থাকলে পানি নিষ্কাসনের জন্য সব সময় অন্তত ৮টি পাম্প চালু থাকে।

বিদ্যুতের সমস্যা না থাকলে পানি জমার সুযোগ পেতো না।

তবে, একটি আবাসন প্রকল্প তাদের সুবিধার জন্য সেচের খাল বন্ধ করে রেখেছে। আমরা তাদের ৭দিনের সময় দিয়েছি। যদি এরমধ্যে তারা পানির খাল অবমুক্ত না করে, তবে অভিযান চালিয়ে তা দখল মুক্ত করা হবে।