পবিত্র কুরআনে মুসলমানদের সালাত স্থাপন করতে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে দুনিয়ার মোহে পড়ে অনেকেই নামাজ এড়িয়ে চলছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জিন্দাপার্ক মসজিদে নতুনভাবে নামাজে উদ্বুদ্ধ করতে বসানো হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন, যা স্থানীয় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে মসজিদের মাইকে আজান চলছে, আর চারদিকে মুসল্লিরা মসজিদের দিকে ছুটছেন। মসজিদের প্রধান ফটকের এক কোণে ইলেকট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন বসানো আছে। কেউ নামাজের আগে, কেউ পরে নিজের আঙুলের ছাপ দিচ্ছেন। দেশে মসজিদে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনের এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
জিন্দাপার্কের অগ্রপথিক পল্লী সমিতি ১৯৮০ সালে স্থানীয় উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল। সমিতির পক্ষ থেকে জিন্দাপার্ক মসজিদ, লিটল এনজেল সেমিনারী স্কুল ও অন্বেষা পল্লী লাইব্রেরি পরিচালনা করা হয়। মসজিদে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন বসানোর মূল উদ্দেশ্য হলো সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের নামাজে উদ্বুদ্ধ করা।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এই উদ্যোগের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি নামাজের অভ্যাস গড়ে তুলছেন। এটি শিক্ষার্থীর মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি এবং আদর্শ মানুষ গঠনে সহায়ক হচ্ছে। ফলে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কমে সুন্দর জীবন-যাপনে উৎসাহ সৃষ্টি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মসজিদে এই ব্যবস্থা থাকলে মুসল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং আল্লাহর নির্দেশ পালন নিশ্চিত হবে।
জিন্দাপার্ক মসজিদের ইমাম মুফতি মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ জানান, মেশিনের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নামাজ আদায় করছেন কি না যাচাই করা হচ্ছে। নামাজ ও ভালো ব্যবহারের জন্য বিদ্যালয় থেকেও মার্ক দেওয়া হচ্ছে, ফলে শিক্ষার্থীদের নামাজে উদ্বুদ্ধ করা সহজ হচ্ছে।
দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সিকদার বলেন, এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিলে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমবে।