শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৭:৩৯ এএম

অর্থ আত্মসাতের মামলায় হামেশা ফুডের এমডি গ্রেপ্তার

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৭:৩৯ এএম

মো. আসাদুল ইসলাম।

মো. আসাদুল ইসলাম।

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে ‘হামেশা ফুড’ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ) তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সকাল ১০টার দিকে তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সোনারগাঁ থানার এসআই (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসাদুল ইসলাম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় ‘হামেশা ফুড লিমিটেড’ নামে একটি আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিচালনা করতেন। ব্যবসার আড়ালে তিনি বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করলে ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে ডা. মাহমুদের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে নিজেকে ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ইমাম’ পরিচয়ে পরিচিত করতেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেন। ব্যবসার নামে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পাওনাদাররা অর্থ ফেরত চাইলে তিনি তাদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার ‘তানভীর ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলস’-এর কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ব্যবসার অংশীদারিত্বের কথা বলে আসাদুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাঁচামাল প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখান এবং এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

রাশেদুল হাসান খান আরও জানান, আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Link copied!