মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম

৫৬ বছর বয়সে মোটরসাইকেলে স্ত্রীকে নিয়ে ৬৪ জেলা ঘুরলেন শিক্ষক

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম

সাহসী অভিযাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রামে- তাজুল ইসলাম ও ফেরদৌসী বেগম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাহসী অভিযাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রামে- তাজুল ইসলাম ও ফেরদৌসী বেগম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বয়স যখন ৫৬, এ বয়সে অনেকেই জীবনকে ধীরগতিতে কাটিয়ে দেন- সেই বয়সে এক শিক্ষক বাইকে চেপে ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা! শুধু একা নন, তার এই দুর্দান্ত অভিযাত্রায় সঙ্গী ছিলেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমও। এমনই এক ব্যতিক্রমী মানুষ হলেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের বাসিন্দা, মহিষমারী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক তাজুল ইসলাম।

২০১৬ সালে ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ওপেন হার্ট সার্জারি করেন তাজুল ইসলাম। তারপর থেকেই জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায় তার। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে তিনি ঠিক করেন- বাকি জীবনটা বাঁচবেন নিজের মতো করে, দেখবেন দেশ, ছুঁয়ে দেখবেন প্রকৃতি, আর সাহসের সঙ্গে বাঁচার প্রেরণা ছড়িয়ে দেবেন চারদিকে।

২০১৭ সালে প্রথম বাইক নিয়ে যমুনা সেতু পাড়ি দেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর পর একে একে- ২০১৭-১৮-ঢাকা বিভাগ, ২০২২-চট্টগ্রাম বিভাগ, ২০২৩-রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ, ২০২৪-বরিশাল ও রংপুর, ২০২৫-খুলনা বিভাগ।

এইভাবে ছুটে চলেছেন সস্ত্রীক, নিজস্ব একটি ডিসকভার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল নিয়ে। কখনো পিচঢালা সড়ক, কখনো পাহাড়ি পথে, আবার কখনো দুর্গম গ্রামীণ গলি- সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে এই দম্পতির সাহসী পদচারণা।

সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও সাজেকের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলেও ঘুরেছেন তাজুল ইসলাম। ঘূর্ণি পাহাড়ি রাস্তা, খাড়া ঢাল- সবকিছুই জয় করেছেন নিঃসঙ্কোচে।

১৯৯০ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন তাজুল ইসলাম। বর্তমানে স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমসহ তিন সন্তানের জনক। বড় ছেলে তারিকুল ইসলাম শুভ একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত, দ্বিতীয় ছেলে তাসনিমুল ইসলাম সুপ্ত যশোর টেকনোলজি পার্কে চাকরি করেন, আর একমাত্র মেয়ে তানজিমা ইসলাম সুচি এইচএসসিতে অধ্যয়নরত।

তার ছেলে সুপ্ত বলেন, ‘আমি শুধু গর্বিত নই, কৃতজ্ঞ। বাবা আমাদের দেখিয়েছেন—জীবন মানে বয়স নয়, জীবন মানে ইচ্ছাশক্তি। হৃদয় যদি বাঁচতে চায়, তাকে কেউ থামাতে পারে না।’

তাজুল ইসলামের এ ভ্রমণে নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি স্পনসর, নেই ক্যামেরা টিম বা ভিডিও কনটেন্ট- আছে শুধু একটি বাইক, একটি ব্যাগ, একরাশ সাহস এবং জীবনের প্রতি অসীম ভালোবাসা।

তাজুল ইসলামের ইচ্ছে, বাইক নিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটান ভ্রমণ করা। জীবনের শেষ অধ্যায়টাকে তিনি করে তুলতে চান আরও রঙিন, আরও সাহসী।

তিনি বলেন, ‘যখন সবাই বলেন- এখন থেমে যাও, তখন আমি বলি- এই বয়সেই তো শুরু করার সময়!’

Shera Lather
Link copied!