ধর্মীয় অনুভূতিকে হাতিয়ার করে প্রতারণা করে আসছিলেন কামাল হোসেন ওরফে ইমন (৩৭)। কখনো মানবাধিকারকর্মী, কখনো ইমিগ্রেশন অফিসার কিংবা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে প্রতারণা করাই ছিল তার মূল পেশা।
সম্প্রতি নাটোরের নলডাঙ্গায় শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, কামাল একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে আরও ভুক্তভোগীদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পরিবারসহ ওমরাহ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে সময় অনলাইনে কামালের সঙ্গে পরিচয় হয়। কামাল নিজেকে ইমিগ্রেশন অফিসার পরিচয় দিয়ে জানান, তার একটি হজ এজেন্সি রয়েছে। এরপর ওমরাহর টিকিট, ভিসা, হোটেল বুকিংয়ের কথা বলে অগ্রিম ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন কামাল।’
তিনি জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আশরাফুল ইসলাম পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও ব্যাংক লেনদেন বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুলিশ প্রতারণার মূল হোতা হিসেবে কামালকে শনাক্ত করে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ঠাকুর লক্ষ্মীকুল গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) আদালতে হাজির করলে বিচারক কামালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি বিভিন্ন পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। তদন্তের মাধ্যমে চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
