২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চাটখিল থানায় লুট করা অস্ত্রের গুলিতে ইমতিয়াজের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে ‘জুলাই শহীদ’ ঘোষণার বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আন্দোলনকারী ছাত্রসমাজ।
তারা এই মৃত্যুতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শহীদ ঘোষণাকে ‘মামলা বাণিজ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চাটখিল কামিল মাদ্রাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন চললেও চাটখিলে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ ঘটেনি। একদল কুচক্রী মহল চাটখিল থানা থেকে অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে। সেই লুট করা অস্ত্র থেকেই ইমতিয়াজ আত্মঘাতী গুলিতে মারা যায়। অথচ রাজনৈতিক প্রভাবে তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা ছাত্র সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’
তারা অভিযোগ করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর যেমন অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি নিয়েছেন, তেমনি ২০২৪ সালের আন্দোলনেও ভুয়া শহীদ বানানো হয়েছে। আমরা এই ভুয়া শহীদ স্বীকৃতি বাতিলের জন্য ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’, উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ‘ইমতিয়াজের বাবা হাবিবুর রহমান বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাকে এমন প্ররোচনামূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় ছাত্রসমাজ আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’
ছাত্রনেতারা আরও অভিযোগ করেন, ইমতিয়াজের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মামলা বাবদ আর্থিক লেনদেন ও হয়রানিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান, এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম, গোলাপ হোসেন ফরহাদ, রফিকুল ইসলাম রনি, তাহা ইয়াসিন এবং মো. সামির।
আপনার মতামত লিখুন :