নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বসুরহাট-কবিরহাট সড়কের ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সামনে ট্রাক ও সিএনজিচালতি অটোরকিশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজিটি ট্রাকের নিচে ঢুকে দুমড়েমুচড়ে গিয়ে নোয়াখালী সরকারি কলেজের দুই শিক্ষার্থীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছেন সিএনজিচালক শাহ আলম, নোয়াখালী কলেজের ছাত্র তানিম হাসান, ছাত্রী ইসরাত জাহান, সিএনজিযাত্রী বিবি কুলসুম, জান্নাত ও সুমন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের উদ্দেশে জেলাশহর মাইজদী থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি ছেড়ে যায়। সিএনজিটি কবিরহাট পৌর এলাকার কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নতুন ভবনের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে সিএনজিতে থাকা তিন যাত্রী ও পরে কবিরহাট হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন ও হাসপাতালে নিলে আরও একজন যাত্রী মারা যায়। এ ঘটনায় আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পরপর ট্রাকটি আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে কবিরহাট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন জানান, সিএনজিটি সোজা এসে ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। পরবর্তীতে ট্রাক চালক ট্রাক না থামিয়ে প্রায় দুই শত গজের মতো গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গতিরোধ করে গাড়িটি আটক করতে সক্ষম হয়।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দেবনাথ জানান, ঘটনাস্থলে তিনজন ও কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর দুজন ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যায়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান করে। সিএনজিতে থাকা চালকসহ ছয়জনই মারা গেছেন। গাড়ি দুটি থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার পরপর ট্রাক চালক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

