পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের শরৎনগর হাটের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। সড়কের ওপরই বসছে হাট, ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা বছরের পর বছর ধরে এ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, ব্রিটিশ আমল থেকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর বাজারে হাট বসে আসছে। এখানে সপ্তাহে শনি ও বুধবার হাট বসে। এই হাটে ভাঙ্গুড়া উপজেলা এবং আশপাশের এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান, সরিষা, গম, পাট, শাকসবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রি করেন। প্রতি হাটে হাজার হাজার মণ কৃষিপণ্য কেনাবেচা হয়।
হাট থেকে সরকারের প্রতি বছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব আকারে আয়ও হয়। তবে হাট বসানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই পৌর শহরের প্রধান সড়ক দীর্ঘদিন ধরে দখল করে হাট বসছে। এতে জনসাধারণ বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও রোগীবাহী গাড়ি চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।

ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া মাস্টার পাড়া এলাকা থেকে বাচ্চাকে স্কুলে দিতে আসা শেখ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা একমাত্র পথ। অন্য রাস্তা দিয়ে গেলে ঘুরে যেতে হয়, আবার ওখানেও যানজটে পড়তে হয়। বিষয়টি সত্যিই ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। এর প্রতিকার হওয়া জরুরি।’
শরৎনগর বাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে সরকারের অনেক খাস সম্পত্তি রয়েছে। যেখানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে আধুনিক পৌর মার্কেট গড়ে তোলা সম্ভব। তারা হাটের দিনগুলোতে গাড়ি ও ট্রাকের মালামাল লোড-আনলোডের কারণে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং হাটের স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান ‘রূপালী বাংলাদেশ’কে জানান, ‘পৌর শহরের ব্যস্ত সড়কে হাট বসালে যানজট সৃষ্টি হয়। হাট বসানোর মতো নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। তবে সপ্তাহে দুদিনের হাটে জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন