পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নে সংঘটিত তিনটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও তাঁর ছেলে মো. মাহমুদ হাসানের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে নিহতদের স্বজন ওস্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাবুল মৃধার সভাপতিত্বে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
যুবদল নেতা মনির হত্যা এবং ২৪ বছর পূর্বে সংঘটিত দেলোয়ার-জলিল হত্যা মামলার রায় প্রত্যাহার করে সাজা বহাল রাখার দাবী করেন মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারীরা।
বক্তারা দাবী করেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই জোড়া খুনের মামলা থেকে খালাস পান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও তাঁর ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ হাসান।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবদুল গণি সিকদার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জসিম, বগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক বাবুল সিকদার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল হক ও ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আনিস মৃধা।
২০০৪ সালে বরিশাল দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোতালেব হাওলাদার ও তার ছেলেকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। পরে ২০১৪ সালে উচ্চ আদালত মামলার সকল আসামীকে খালাসের রায় দেন।
এ বিষয়ে নিহত জলিল মুন্সীর ছেলে সাদমান সাকিব ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমজামামুল হক দোলন জোড়া খুন মামলার রিভিউ পিটিশনের দাবি তুলে বলেন,‘ আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের বিচারক আসামীদের খালাস দিয়ে আমাদের ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় আমি এবং আমার পরিবারের কেউ জড়িত না। রাজনৈতিক কারনে আমাকে ও আমার ছেলেকে আসামী করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায়। তখন আমিসহ আওয়ামী লীগের লোকজন আত্মগোপনে ছিলাম। পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই জোড়া খুনের মামলায় ষড়যন্ত্র করে আমাকে এবং আমার ছেলেকে আসামী করা হয়। আমরা জড়িত না থাকায় উচ্চ আদালত সেই মামলায় আমাদের খালাস দিয়েছেন। পুরনো ঘটনায় আমাকে এবং আমার পরিবারকে হয়রানি করার জন্য একটি পক্ষ নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।