স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন পিরোজপুরের আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ভোরা গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. ফিরোজ আলম। আদালত আসামিকে এ দণ্ড ছাড়াও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও আট মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের মৃত আমীর মল্লিকের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে স্বামী ফিরোজ আলম তার স্ত্রী ৬ সন্তানের জননী বিউটিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার দায় থেকে নিজে বাঁচতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকা তার প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেন ফিরোজ।
এ ঘটনায় নিহত বিউটির ভাই মো. ইউনুস মল্লিক বাদী হয়ে ফিরোজকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য প্রমাণে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এ রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবির বাদল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন