ঢাকা রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে রিজভীর গাড়ি আটকালেন যুবদল নেতারা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
পটুয়াখালীতে রুহুল কবির রিজভীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা। ছবি- সংগৃহীত

পটুয়াখালী সদর উপজেলায় জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর গাড়ি আটকিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কাজিরহাট বাজারে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। রিজভীর গাড়ি কাজিরহাট ব্রিজে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা সড়কে শুয়ে পড়েন এবং প্রায় আধঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তারা জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. রিমানুল ইসলাম রিমুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, রুহুল কবির রিজভী এক অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা দিতে পটুয়াখালী এসেছিলেন। তার আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা ও উপজেলা যুবদলের একাংশ নেতাকর্মীরা সড়কে জড়ো হয়ে বহিষ্কৃত নেতা রিমুর পুনর্বহালের দাবি জানান।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, রিমুকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রিমুর সমর্থকরা দাবি করেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।

স্থানীয় যুবদল নেতারা জানিয়েছেন, রিমু ২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে বিএনপির আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। দক্ষিণাঞ্চলে তিনি একাধিক মিছিল, সমাবেশ ও সাংগঠনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতিতেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ বলেন, ‘রিমু ভাই না থাকলে দলের যখন দুঃসময়, তখন পটুয়াখালীতে বিএনপির কোনো মিছিল-সমাবেশ হতো না। তিনি ১৭ বছর ধরে রাজপথে ছিলেন, কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমন একজন ত্যাগী নেতাকে বহিষ্কারাদেশ দিয়ে দূরে রাখা ঠিক হয়নি। আমরা তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

পরে রিজভী বলেন, ‘আমি একটি মানবিক কাজে এসেছি, দলের কোনো বিষয় দেখতে আসিনি। তবে আপনারা বিষয়টি জানিয়েছেন, আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব, বিবেচনা করা হবে।’

রিজভীর আশ্বাসের পর নেতাকর্মীরা সড়ক থেকে সরে দাঁড়ান এবং ব্রিজে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।