পটুয়াখালীর মহিপুরে ট্রলারের মাঝি শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার দীর্ঘদিনের পলাতক প্রধান আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি দল মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
গ্রেপ্তারকৃত সোহেল ফকির (৩৪) পশ্চিম খাজুরা এলাকার মৃত আমজেদ আলী ফকিরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, নিহত শহিদুল ইসলাম পেশায় ট্রলারের মাঝি ছিলেন। শহিদুলের ট্রলারের জেলে ইব্রাহিমের কাছে ২ হাজার ৪০০ টাকা পাওনা নিয়ে সোহেল ফকির ও তার সহযোগীদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি শহিদুল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে সোহেল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
গত ২৬ জুন খাজুরা আবাসনে নিজ ঘরের সামনে কাজ করার সময় সোহেল ফকির ও তার সহযোগীরা শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়।
সোহেলের হাতে থাকা লোহার রডে শহিদুল গুরুতর আহত হন এবং পরে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের ছোট ভাই রাসেল হাওলাদার মহিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই প্রধান আসামি সোহেল ফকির পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর সোহেল ফকিরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শহিদুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোহেল ফকিরকে র্যাব আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোহেল ফকিরের বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা রয়েছে।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন