ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

আওয়ামী লীগ নেতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, বাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি জব্দ

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আবুল কালাম আজাদ (ইমরান)। ছবি- সংগৃহীত

পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবুল কালাম আজাদ (ইমরান)-এর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে থাকা জমি, ফ্ল্যাট, দোকান ও ভবন-সহ একাধিক স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে এ আবেদন করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম মিন্টু। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ৮৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনি যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন এবং তার নামে থাকা সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে—এমন যুক্তিতে আদালতের কাছে নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের আবেদন করা হয়।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার দেউলপাড়া মৌজার ৬ শতাংশ জমি ও একটি চারতলা ভবন, ঢাকার নিউ বেইলি রোডের একটি ফ্ল্যাট, খুলনার সোনাডাঙ্গার দুটি জমি ও ঢাকার দক্ষিণ চামেলিবাগ এলাকার একটি দোকান ঢাকার মাতুয়াইলের ২১ শতাংশ জমি।

দুদক বলছে, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে ৮৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানান, আবুল কালাম আজাদ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। তার পিতা সেকেন্দার আলী শেখ পেশায় একজন ইট বহনকারী নৌকার মাঝি ছিলেন। আওয়ামী লীগে যোগদানের পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং পরে ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সময়ের মধ্যেই তিনি বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান এবং এলাকায় ‘দুর্নীতিবাজ নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।