আগামী ১০ আগস্ট রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মিডিয়া সেল উপকমিটির আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে এক কাতারে মহানগরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে ভেদাভেদ ভুলে বিএনপি এখন একতাবদ্ধের বার্তা এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপকমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘এই সম্মেলন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে, যা মিলনমেলায় রূপ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজশাহী মহানগরের সাতটি সাংগঠনিক থানা ও ৩৫টি ওয়ার্ডের সব কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও নেতা-কর্মীরা এতে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন।’
শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘২০০৯ সালের পর এই প্রথম মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিগত দিনের সব ভেদাভেদ ভুলে বিএনপি এখন একতাবদ্ধ। সাবেক ও বর্তমান নেতারা সবাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘পতিত সরকার গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে, লক্ষাধিক মামলা দায়ের করেছে, অসংখ্য নেতা-কর্মীকে কারাবন্দি করেছে। এখনো প্রতিদিন হাজিরা দিতে হচ্ছে। তবু বিএনপিকে দমন করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব বাধা অতিক্রম করেও বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী রমজানের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি তারেক রহমানের 'ওয়ান-টু-ওয়ান' আলোচনার ফল।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই কাউন্সিল হবে সম্পূর্ণ ঐক্যমতের ভিত্তিতে। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকলের সম্মতিতেই নেতা নির্বাচন হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলী, বোয়ালিয়া থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নুল আবেদিন শিবলী, সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট ও বর্তমান আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন এবং জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি শামসুল হোসেন মিলু, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন।
