রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সামিহাকে অপহরণের ৩০ দিন অতিক্রম হলেও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। অপহৃত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত থানার পক্ষ থেকে কোনো আসামিকে আটক করা হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে মেয়েটির কোনো খোঁজ পাওয়া না যাওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাজশাহী–ঢাকা মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে সামিহার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী প্রায় এক ঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
তারা অভিযোগ করেন, মামলার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর উদ্যোগের অভাবে এখনো সামিহাকে উদ্ধার করা যায়নি।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে হৃদয় নামের এক যুবক ও তার সহযোগীরা সামিহাকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান আসামি হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে হয়রানি করছিল। রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের ৩০ দিন অতিক্রান্ত হলেও থানা পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি বা তার অবস্থানও জানাতে পারেনি। পরদিন ২৭ অক্টোবর ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পরও থানার পক্ষ থেকে কাউকেই আটক করা হয়নি। নিজ উদ্যোগে আসামিদের অবস্থান থানাকে জানালেও তারা গড়িমসি করেছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তার।’
তিনি জানান, ‘মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার কারণে ছাত্রীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ৩০ দিন ধরে মেয়ের কোনো খবর নেই। প্রতিদিন থানায় যাই, কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা ভেঙে পড়েছি।’
মানববন্ধনে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুঠিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিজান, পুঠিয়া পৌর বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর জব্বার চান্দু, জিয়া পরিষদ পুঠিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন মুক্তাসহ অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সামিহাকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান।



