গাজীপুরে মাদক মামলার এক আসামিকে আটক ও মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে সদর মেট্রো থানার দুই পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন। এ সময় মাদককারবারিদের হামলায় এএসআই আব্দুর রশিদ (৪০) ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম (৩৬) গুরুতর আহত হন।
আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, অপরাধ উত্তর) মো. রবিউল হাসান মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর ভোড়া চৌকিদারবাড়ী এলাকায় মাদক মামলার আসামি আব্রাহাম রায়হানকে (১৮) আটক করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
কী ঘটেছিল
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক মামলার আসামি আব্রাহাম রায়হানকে আটক করার পর আলামত জব্দ এবং স্থানীয় সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ ও আসামির মোটরসাইকেল জব্দ করতে যায় পুলিশ। আলামত জব্দের পর মাদককারবারি মুমতাজ, শাহ জামাল ওরফে মালা পাগলাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাকালে মুমতাজ, তার ছেলেরা এবং আসামি আব্রাহাম রায়হানের আত্মীয়স্বজন দুই পুলিশ সদস্যকে ঘিরে ধরে।
পরে এএসআই আব্দুর রশিদ ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে মাথায় আঘাতসহ মারধর করা হয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে এএসআই আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে সদর মেট্রো থানা পুলিশ এসে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অন্যদিকে কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে চোর সন্দেহে দ্বিতীয় দফায় আবারও মারধর করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ফজল মিয়া জানান, আব্দুর রশিদ ও সাইফুল ইসলাম নামে দুই পুলিশ সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, অপরাধ উত্তর) মো. রবিউল হাসান জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।



