খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলায় আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। বিভিন্ন বিলে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মাঠ থেকে নতুন ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতিতে বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন কৃষাণীরা। সবমিলিয়ে কৃষক পরিবারের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ। কয়রা উপজেলায় যেন শুরু হয়েছে ‘আমন উৎসব’।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে কয়রা উপজেলায় ১৬ হাজার একশত ১২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এবং ২৪০০ কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।ৰ
কয়রা উপজেলার ভান্ডারপোল পূর্ব বিলের কৃষক মো. মোক্তার সানা বলেন, আমি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম ফলন ভালো হয়েছে। ধান কাটা শুরু করেছি। কৃষক ফজলু গাজী বলেন, আমি প্রতিবছর আমন ধান লাগায় এবার ৬ বিঘা জমিতে লাগিয়েছিলাম। ফলন বাম্পার হয়েছে এ সপ্তাহে ধান কাটা শুরু করব। তিনি আরও বলেন, ধান বাড়িতে তোলার জন্য বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছি। একই বিলের কৃষক মো. আবু বক্কর বলেন, আমার এবছর লাগানো চার বিঘা জমির আমন ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। তিনি আরও বলেন, এবছর শ্রমিকের দাম গতবছরের চেয়ে একটু বেশি।
পাটুলিয়া বিলের কৃষক হৃদয় বলেন, আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগায়ছি ফলন বাম্পার হয়েছে। ধানকাটা ২/১ দিনের মধ্যে শুরু করব। তিনি আরও বলেন, বিঘা প্রতি ২২ মণ করে হবে বলে আশাবাদী।
আমতলা বিলের কৃষক আ. আইয়ুব আলী গাজী বলেন, আমি ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগায়ছি ফলন বাম্পার হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করব। কয়রা সদর ইউনিয়নের কৃষক আ. খালেক বলেন, আমি প্রতিবছর আমন ধান লাগায় এবছর ধানের বাম্পার হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবো, তিনি আরও বলেন উপসহকারী কৃষি অফিসার সবসময় আমাদের পরমর্শ দেন।
মহারাপুর আবাদের বিলের কৃষক আবুল হাসান জানান,আমি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগায়ছি ফলন বাম্পার হয়েছে। ধান কাটা শুরু হয়েছে বিঘা প্রতি ২২ মণ করে ধান পাব বলে আশা করছি।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার তিলোক কুমার ঘোষ বলেন, এবছর আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি অফিস সবসময় সকল কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।


