উত্তরাঞ্চলে শীতের হিমেল আমেজ এখন স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে দিনাজপুরজুড়ে নেমে আসে শীতের ভারী প্রভাব।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমকি ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আজকের দিনে সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, ফলে শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দেয়। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুর ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিমলা (নীলফামারী) ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়া ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোর ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত শীতল বাতাসের কারণে দিনাজপুরসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাচ্ছে। সামনের কয়েক দিন রাত, ভোরে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি প্রকৃত তাপমাত্রার তুলনায় বেশি লাগছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, সড়কযাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় জেলার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগও বাড়ছে। ভোরের সময় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে শ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরদের আগুন জ্বালিয়ে গা গরম করতে।
স্থানীয় দিনমজুর মুকুল হোসেন বলেন, সকালে কাজ করতে বের হতে খুব কষ্ট হয়। হাত পা জমে আসে। শীতটা এবার একটু আগেই অনুভব করছি।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, ভোরবেলা দোকান খুলতেই কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। শীত বাড়ায় বাজারে গরম কাপড়ের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।


