ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

রাজধানীতে তিন অপমৃত্যু, মরদেহ ঢামেকে

মেডিকেল প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- ভাটারা থানা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন রায়হান (৩২), সবুজবাগ থেকে গৃহিণী সিমি আক্তার (২০) ও গাড়ি চালক ইপু (২৫)।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে পৃথক জায়গা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

ভাটারা থেকে উদ্ধার হওয়া আল-আমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই- ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে একটি বাড়ির ছাদে চিলেকোঠার রুমে থাকতেন।

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আসাদুজ্জামান বলেন, চিলেকোঠার ওই রুমটিতে থাকতেন আল-আমিন। সোমবার রাতে রুমের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির দারোয়ান বিকল্প চাবি দিয়ে রুম খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, জানালার গ্রিলের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তিনি রয়েছেন। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে রাত পৌনে একটার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে সবুজবাগের আহমদবাগ এলাকার ৩৩/ডি নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন গৃহিণী সিমি আক্তার। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফুর রহমান উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নাম মুরাদ হোসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে সবুজবাগের দক্ষিণগাঁও এলাকার ৬ নম্বর রোডের আবু সাইদের টিনশেড বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গাড়ি চালক ইপুর লাশ। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইপুর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. রবিউল ইসলাম। দক্ষিণগাঁওয়ের বাড়িটিতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সোমবার রাতে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী কুলসুমের সাথে ঝগড়া হয় তার। এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর নিজেই রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে শীতের চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। তার লাশ উদ্ধার করা হয় আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তিন লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।