শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়িতে পাওয়া গেল ৪৪৪ বস্তা সার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম

পুলিশ ও কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে এসব সার জব্দ করা হয়। ছবি- সংগৃহীত

পুলিশ ও কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে এসব সার জব্দ করা হয়। ছবি- সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার বাড়ি থেকে ৪৪৪ বস্তা বিভিন্নপ্রকার কৃষি সার জব্দ করেছে প্রশাসন। পুলিশ ও কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে এসব সার জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় অভিযুক্ত নেতা পালিয়ে যান।

জব্দ করা সারের মধ্যে রয়েছে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি ও ৪৪ বস্তা এমওপি। প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে এসব সার মজুদ করা হয়েছিল। অভিযান শেষে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন ওয়ারেস আলী (৩৫), যিনি এলাকায় ‘মুরগি বাবু’ নামে পরিচিত। তিনি ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এবং দানগাছি গ্রামের আমজাদ হোসনের ছেলে। এলাকায় তিনি মূলত মুরগির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, ওয়ারেস আলী খুচরা সার বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধিত। নিয়ম অনুযায়ী তিনি ডিলারের কাছ থেকে সার কিনে অনুমোদিত দোকান থেকে খুচরা বিক্রি করতে পারবেন। তবে নিজ বাড়িতে এত বিপুল পরিমাণ সার মজুদ রাখা অনুমোদিত নয় এবং এটি অবৈধ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসনের কাছে গোপন তথ্য আসে যে, দানগাছি গ্রামে ওয়ারেস আলীর বাড়িতে অবৈধভাবে সার মজুদ করা হয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে সারগুলো জব্দ করা হয়।

অভিযুক্ত ওয়ারেস আলী দাবি করেন, জব্দ করা সব সার বৈধ এবং এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের দোকানে সার সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ও পরিবেশ না থাকায় তিনি সাময়িকভাবে বাড়িতে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত সার নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টের বাইরে কোনো অবস্থাতেই সার মজুত রাখা যাবে না। ওয়ারেস আলী নিজ বাড়িতে সার রেখেছেন, যা নীতিমালা লঙ্ঘনের শামিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাড়িতে অবৈধভাবে সার মজুতের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!