রাজশাহীর বাগমারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার বাড়ি থেকে অবৈধভাবে মজুত রাখা ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি গ্রামে কৃষি দপ্তর ও বাগমারা থানার পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় তার বাড়ির একটি কক্ষ থেকে এসব সার জব্দ করা হয়। অভিযান চালানোর সময় ওই নেতা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
জব্দ করা সারের মালিক ওয়ারেস আলী (৩৫) ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। তিনি ভবানীগঞ্জের গরুহাটায় খুচরা সার বিক্রি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ওয়ারেস আলীর খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধন আছে। ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনে দোকানে রেখে খুচরা বিক্রি করতে পারবেন। তবে বাড়িতে মজুত করা রহস্যজনক। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমন্বিত সার নীতিমালা ও সার ব্যবস্থাপনায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টের বাইরে সার মজুত বা রাখা যাবে না। তিনি নিজ বাড়িতে রেখেছেন, যা অবৈধ।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সার মজুতের খবর পেয়ে কৃষি দপ্তর ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। খবর পেয়ে ওয়ারেস আলী পালিয়ে যান। পরে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি ও ৪৪ বস্তা এমওপি সার জব্দ করা হয়। বাড়িটি সিলগালা করা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, দুজন ডিলারের লাইসেন্স ব্যবহার করে ওয়ারেস আলী সারের ব্যবসা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তবে কালোবাজারিতে বিক্রির জন্যই সারগুলো নিজের বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ারেস আলী বলেন, জব্দ করা সব সারই বৈধ এবং কাগজপত্রও আছে। উপজেলা বিএনপির এক নেতা ও পৌরসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার লাইসেন্স দিয়ে তিনি ব্যবসা করেন। এসব সার রাজশাহী বিএডিসি গুদাম থেকে তোলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবানীগঞ্জ বাজারের দোকানে সার রাখার যথাযথ পরিবেশ না থাকায় বাড়িতে রেখেছিলেন। সারগুলো বৈধ পথে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

-20251205154921.webp)

