বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

সাতক্ষীরা ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

সাতক্ষীরা ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরা জেলায় শিতের প্রকোপের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। গত কয়েকদিনে সাতক্ষীরা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতারে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে ১০০ জনের ও বেশি শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সাতক্ষীরা তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের  জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে আসনের তুলনায় কয়েকগুন বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।  ওয়ার্ডের দুইটি ইউনিটে ৫০ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই গুনেরও বেশি রোগী। শয্যা না পেয়ে তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই ওয়ার্ডের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। রোগীর স্বজনরা জানান, শিতের প্রকোপের সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। বিশেষজ্ঞ চকিৎসকরা বলেছেন, শীতের প্রকোপের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ।

হাসপাতালটিতে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শীতকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। আক্রান্ত হওয়া শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন তার বাবা মাসহ স্বজনরা।

এদিকে, শিশুদের পাশাপাশি নানা বয়সি নারী পুরুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের চাপ। তাদের কারও কারও পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল। সচেতনতার অভাবে প্রতি বছরই এমন চিত্র দেখা যায় বলে তাদের মত। এসব রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই।

কুমিরা ইউনিয়নের আমানুল্লাহপুর গ্রামে সনিয়া বেগম (২৫) বলেন, আমার এক বছরের সন্তান হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। শয্যা না পাওয়ায় বারান্দায় মেঝেতে শুয়ে চিকিগৎসা নিচ্ছি। ঠান্ডার কারণে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। গঙ্গারামপুর এলাকার অজিয়া আক্তার (৩০) জানান, হঠাৎ করে ঠান্ডা বেশি পড়ায় তার শিশু সন্তান শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ্য মনে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার রাজিব সরদার বলেন, শীতের কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে।

এ ছাড়া অনেকের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও খিঁচুনি রয়েছে। ঠান্ডার এই সময়ে বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে বিশেষ করে শিশু ও বয়ষ্কদের রক্ষা করতে হলে শতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তিনি বলেন, এই ঠান্ডায় যথাসম্ভব গরম পানি পান করতে হবে। আর অসুস্থ হলে তাজা ফরমূলের রস, শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। আমরা প্রতি বছরেই এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করে চলেছেন। এই সময়টাতে ধুলাবালি বেশি থাকায় যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!