বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘দয়া করে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অবহেলা করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যেটি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।’
বৃহস্পতিবার (১ মে) শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে একটা অস্বস্তিকর প্রস্তুতির মধ্যে বসবাস করছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও গণতন্ত্র ফিরে আসেনি।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সংস্কার আমাদের দাবি, আমাদের সন্তান। সুতরাং কঠিন সময়েও সংস্কারের কথা চিন্তা করে আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছিলেন। আজকে সমাবেশ থেকে দাবি করছি, অবিলম্বে যেসব সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, তা সামনে নিয়ে আসেন এবং দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।’
তিনি বলেন, ‘যেগুলো একমত হয়নি তা আগামী সংসদে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা যাবে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের অস্তিত্ব নির্ভর করছে গণতন্ত্রের ওপর। নির্বাচনই গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই সব সমস্যা দূর হবে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘অনেকে বলেন- ১৭ বছর ধরে আপনারা কী করেছেন? আরে, আমরা ১৭ বছর ধরে গাছের গোড়ায় পানি দিয়ে গোড়া নরম করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দুই দিনের আন্দোলনে শেখ হাসিনা যায়নি। যারা বলেন ১৭ বছর কী করেছেন? তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও গণতন্ত্র এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তারেক রহমানের ওপর বিশ্বাস রেখে বলছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে বিএনপির বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র তা থামবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে আমার বিশ্বাস।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সংস্কার কমিশনে বিএনপি যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তা নির্বাচনের আগে আইন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে কোনো সমস্যা থাকবে না।’
আপনার মতামত লিখুন :