ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি।
সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর টানা ১ সপ্তাহ ধরে সীমান্তে রাতভর গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে।
এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়ার সময়, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং কোন প্রক্রিয়ায় জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ রয়েছে।’
এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, ‘ভারত পেহেলগামের ঘটনায় জড়িত থাকার ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগের অজুহাত দেখিয়ে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে চায়, এমন বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য পাকিস্তানের কাছে আছে।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। এ অঞ্চলে যেকোনো গুরুতর পরিণতির জন্য ভারত সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।’
এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে আলাদা করে ফোনালাপ করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, রুবিও এই ‘অমানবিক হামলার’ তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি ভারতকে বিদ্যমান অস্থিরতার মাত্রা কমিয়ে আনতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করেন।
রুবিওর সঙ্গে ফোনকলের পর দেওয়া বিবৃতিতে জয়শঙ্কর বলেন, ‘হামলাকারী, তাদের সহযোগী ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
বেশ কয়েক বছরের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভারতীয় পুলিশ তিন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে।
তাদের মধ্যে দুই জন পাকিস্তানি ও অপরজন ভারতীয় বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। ওই তিন ব্যক্তির ছবি সংবলিত পোস্টার ঝুলানো হয়েছে সর্বত্র।
ভারতের দাবি, ওই তিন ব্যক্তি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়্যেবা নামের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২০ লাখ রুপি (২৩ হাজার ৫০০ ডলার) পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :