শুটিং শেষ, ক্যামেরা বন্ধ। কিন্তু সম্পর্কটা থেমে নেই। ‘আড়ি’র বৌমা নুসরাত জাহানের মুখে শোনা গেল তার অনস্ক্রিন শাশুড়ি মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একরাশ ভালোবাসা আর প্রশংসায় সিক্ত বক্তব্য।
শুধু চরিত্র নয়, তার ভাষায় বাস্তবেও এক ‘কুল’ শাশুড়ির ছায়া খুঁজে পেয়েছেন নুসরাত। হেসে যোগ করেন, ‘এক শ-তে এক শ নম্বর দেব ওঁকে!’
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুসরাত বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার মা-বাবা ওঁর ছবি দেখতেন। ওঁকে সামনে থেকে দেখার, একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বয়স বেড়েছে, এক কন্যাকেও হারিয়েছেন, তা সত্ত্বেও মৌসুমীদি একেবারে ছেলেমানুষ। কথা বলায় খুনসুটি, আচরণে মজা আর মাঝেমধ্যে শাসন, সব মিলিয়ে অসাধারণ একজন মানুষ।’
শুটিংয়ের সময় মোবাইল দূরে রাখতেন নুসরাত, বাড়ি ফিরে ব্যস্ত থাকতেন সংসার সামলাতে। এ অভ্যাস দেখে চমকে যান মৌসুমী। তিনি বলেন, ‘এ প্রজন্মের কেউ এত ফোনবিমুখ হয়!’ এ এক অভ্যাসই মৌসুমীর কাছে নুসরাতের বড় গুণ।
বয়সের কারণে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে মেজাজি মনে করার যে প্রচলিত ধারণা, সেটিও নাকচ করে দিয়েছেন নুসরাত।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একেবারে উল্টো। ওঁর সঙ্গে সময় কাটালে মনই ভালো হয়ে যায়। হাসিখুশি, প্রাণবন্ত। আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই যেন অন্য মানুষ-ততটাই জীবন্ত, এতটাই সাবলীল।’
এ সম্পর্ক শুধু ‘আড়ি’ ছবিতেই থেমে থাকবে না, সেই ইঙ্গিতও দেন অভিনেত্রী। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘আগামী ছবিতে আবারও ওঁকে চাই। তবে এখনই জিজ্ঞেস করবেন না আমাদের পরের ছবি কী! আগে ‘আড়ি’র প্রচার শেষ হোক, তারপর ভাবব।’
নুসরতের মুখে এমন আন্তরিক বক্তব্য প্রমাণ করে, এই ‘শাশুড়ি-বৌমা’র সম্পর্ক রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফেও রূপ নিচ্ছে। শুটিং ফুরালেও যাদের মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে মনের সেতুবন্ধন।
আপনার মতামত লিখুন :