রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ১১:০৫ এএম

‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’ বহু প্রচলিত প্রবাদটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ১১:০৫ এএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’—এ বহুল প্রচলিত প্রবাদটির পেছনে যে বাস্তব সামাজিক যুক্তি রয়েছে, এবার তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা। তাদের গবেষণা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সেস-এ।

গবেষণাটিতে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, সামাজিক সংযোগ এবং বন্ধুত্ব-শত্রুতার জটিল গতিবিধি নিয়ে নতুন বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, দীর্ঘদিন আগে প্রস্তাবিত ‘সোশ্যাল ব্যালেন্স থিওরি’ বা ‘সামাজিক ভারসাম্য তত্ত্ব’-ই এবার বাস্তব পরীক্ষায় প্রমাণিত হলো।

১৯৪০-এর দশকে মনোবিজ্ঞানী ফ্রিটজ হেইডার এই তত্ত্বটি প্রস্তাব করেছিলেন। তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ সাধারণত এমন পরিবেশে মানিয়ে চলতে চায়, যেখানে পারস্পরিক সম্পর্ক ভারসাম্যপূর্ণ। যেমন: কেউ যদি একই ব্যক্তিকে শত্রু মনে করে, তবে তারা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার প্রবণতা দেখায়—ফলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে পারে।

আগের নানা গবেষণায় বিষয়টি গাণিতিক মডেল ও যোগাযোগ তত্ত্বের মাধ্যমে পরীক্ষা করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের জটিল সম্পর্কগুলোকে অত্যধিক সরলীকরণ করা হয়েছিল, ফলে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।

নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এবারের গবেষণায় দুটি বিষয় গুরুত্ব দেন:

-পৃথিবীর সবাই সবার পরিচিত নয়।

-মানুষের মধ্যে ইতিবাচক সংযোগ গড়ে ওঠে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে।

এই ধারণার ভিত্তিতে গবেষকেরা স্ল্যাশডট, এপিনিয়ন-এর মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ এবং বিটকয়েন ব্যবসায়ীদের লেনদেন বিশ্লেষণ করেন।

তারা এমন একটি মডেল তৈরি করেন, যেখানে মানুষের সংযোগ র্যান্ডম নয়; বরং বাস্তব জীবনের মতো—সংযোগ নির্ভর করে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা ও ইতিবাচক অভিপ্রায় অনুযায়ী।

গবেষণার ফলাফল

গবেষণায় দেখা গেছে, হেইডারের সামাজিক ভারসাম্য তত্ত্ব বাস্তব সামাজিক প্ল্যাটফর্মে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এতে বোঝা যায়, পারস্পরিক শত্রুতা বা বন্ধুত্ব মানুষের আচরণকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে।

এবং এই সম্পর্ক গঠন প্রক্রিয়া কেবল সামাজিক নয়—এটির রয়েছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব।

গবেষকেরা মনে করছেন, এই তত্ত্বের প্রয়োগ—রাজনৈতিক মেরুকরণ বুঝতে ও নিরসনে, বিশ্ব রাজনীতির জটিলতা বিশ্লেষণে, মানব-মস্তিষ্কের নিউরন সংযোগ বিশ্লেষণে, এমনকি বহু উপাদানযুক্ত ওষুধের সংমিশ্রণ নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট নোরিজ বলেছে, এ গবেষণা শুধু সামাজিক জীবনের বিশ্লেষণ নয়, বরং জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিতে পারে।

Shera Lather
Link copied!