শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ১২:৩৮ এএম

মনোনয়ন নিয়ে ফরিদপুরে

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ ভাঙচুর-আগুন, আহত ২০

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ১২:৩৮ এএম

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ  ভাঙচুর-আগুন, আহত ২০

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় বিএনপির দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের কারণে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পৌরসভা, ওয়াপদা মোড় ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তারা দুজনই বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। গত সোমবার বিএনপি ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও এই আসনটির মনোনয়ন স্থগিত রেখেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে শামসুদ্দীন মিয়ার সমর্থকরা ওয়াপদার মোড় এলাকায় এবং নাসিরুলের সমর্থকরা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন। তাদের হাতে বাঁশের লাঠির মাথায় ছিল ধানের শীষ। বিকেল ৪টার দিকে নাসিরুলের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে ওয়াপদার মোড় এলাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অপরদিকে শামসুদ্দীনের সমর্থকরা কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের দিকে অগ্রসর হয়। বোয়ালমারী পৌরসভার সামনে এলে দুপক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। তবে নাসিরুলের সমর্থকরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় শামসুদ্দীনের সমর্থকরা পিছু হটে ওয়াপদার মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেয়।

খবর পেয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিব্বির আহমেদ, বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে যান এবং দুপক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। তবে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, নাসিরুলের সমর্থকরা হারুন শপিং কমপ্লেক্সে সামনে থাকা অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা শামসুদ্দিন মিয়ার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ছাড়া আশপাশে ১০-১২টি দোকানে হামলা করে ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।

বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। দুপক্ষের ইটপাটকেল, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মুখে পুলিশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এলেও তারাও হামলার মুখে ফিরে যান। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন ফায়ার সার্ভিস পুনরায় এসে আগুন নেভায়। এ ঘটনার পর থেকেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘প্রশাসনকে জানিয়ে আমরা ওয়াপদার মোড়ে অনুষ্ঠান করছিলাম। এ সময় নাসিরুলের লোকজন আওয়ামী লীগের লোকদের সঙ্গে নিয়ে অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে, আমার কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় আমার ১৫ সমর্থক আহত হয়েছেন। কার্যালয়ে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে।’

অপর বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ছিলাম মধুখালী। আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। একজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। ওরা হারুন শপিং কমপ্লেক্সের উপরে উঠে ইট ছুড়ে মারলে আমার চার-পাঁচজন সমর্থক আহত হন। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শপিং কমপ্লেক্সে হামলা করে।’

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত ফোর্স ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!