ঋতু পরিবর্তন, ডেঙ্গু ও টাইফয়েডের কারণে বর্তমানে দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রতিটি বয়সি মানুষের মধ্যে জ্বরের সমস্যা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জ্বরের সঙ্গে সঠিক পুষ্টি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতি ডিগ্রি শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বিপাকক্রিয়া প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, ফলে শরীরের শক্তির চাহিদাও বাড়ে। এ সময় পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করা বিশেষ জরুরি।
ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন, জ্বরের সময় তরল খাবারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যেমন:
ফলের রস: কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা, সবুজ আপেল ও আনারসের রস (চিনি ছাড়া) দ্রুত জ্বরের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
চিকেন স্যুপ: প্রোটিন ও ক্যালরি যোগায়, ডায়রিয়া বা বমি থাকলে ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখে। সবজি মেশালে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও পাওয়া যায়।
চা: মসলা চা, আদা চা বা হারবাল চা অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কার্যকারিতা রাখে। লেবু, মধু, তুলসী বা পুদিনাপাতা যোগ করলে সর্দি-কাশি কমে।
মিল্কশেক: ওটস, খেজুর, কলা, বাদাম ইত্যাদি যোগ করলে ক্যালরি বৃদ্ধি হয়। তবে ডায়রিয়া থাকলে এড়িয়ে চলা উচিত।
ডাবের পানি: পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে।
পাতলা সুজি ও জাউ ভাত: সহজপাচ্য ও ক্যালরিসম্পন্ন খাবার—পাতলা পেঁপে মুরগির ঝোলের সঙ্গে দিলে আরও উপকারী।
ডিম: সেদ্ধ বা ডিমভাজি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। ডিমপুডিংও দেওয়া যেতে পারে।
পাতলা খিচুড়ি ও টক দই: হজম সহজ করে, রুচি ফিরিয়ে আনে।
তবে জ্বরের সময় ভাজা-তেলে রান্না করা, কাঁচা খাবার, বাইরের খাবার ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলাই উত্তম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক খাদ্যতালিকা ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করলে জ্বরের সময়ে দুর্বলতা কমে এবং রোগীর পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন