পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হঠাৎ বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র ৪-৫ দিনের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজারে নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে শীতের সবজির যোগান বাড়ায় ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মাসেই আরও একদফা দাম কমতে পারে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এক সপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৭৫-৮০ টাকা কেজি। সে অনুযায়ী এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা।
উপজেলার খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা। আজ সেই দাম বেড়ে হয়েছে ১০০-১১০ টাকা। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকায়। অন্যদিকে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির দাম কমে এসেছে।
এস এম নাহিদ হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে প্রতিটা সময়ই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেশি থাকে, যা আমাদের জন্য কষ্টের। নতুন করে হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে, তাই তারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।’
উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে মোকামগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে দামে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠলে দাম কমে আসবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। অন্যদিকে নতুন করে আর সবজির দাম বাড়বে না। বরং দুই সপ্তাহ পর থেকে শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।’
জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি জানান, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সংস্থা নিয়মিতভাবে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছে। কেউ যদি কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে অহেতুক কোনো পণ্যের দাম বাড়ায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন