ছেলে প্রকৌশলী, মা উদ্যোক্তা-নাজমা বেগম ও বোরহান মাহমুদের গল্পে গ্রামে জেগেছে নতুন উদ্যম। দুই দশক আগে মিষ্টির প্যাকেট তৈরি করে কাজ শুরু করা নাজমা বেগম তখন ১৪-১৫ জন প্রতিবেশী নারীকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এখনো চাহিদা অনুযায়ী প্যাকেট তৈরি করেন।
ছেলে বোরহান মাহমুদ ঢাকায় একটি অডিট ফার্মে চাকরি করতেন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল ভিন্ন-কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তাই চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে মা-ছেলের সঙ্গে শুরু করেন অর্গানিক ফুড ব্যবসা। প্রথমে তারা বিক্রি করতেন মধু, ঘি ও নারিকেল তেল। পরে মেশিনে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, চালের গুঁড়া-সবই যুক্ত হয় অনলাইন বাজারে।
বর্তমানে বাড়িতে স্থাপন করা হয়েছে অটো ইলেকট্রিক ঢেঁকি, যা থেকে বাজারজাত করা হচ্ছে ঢেঁকি ছাঁটা লাল চাল। পাশাপাশি মাছচাষ ও কুলের বাগান চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনকে কাজের সুযোগ দিয়েছেন তারা।
নাজমা বেগম বললেন, ছেলেকে নিয়ে অনেক দূর যেতে চাই। চাই গ্রামে বেকারত্ব কমুক, সবাই নিজ হাতে কাজ শিখুক।
ইতিমধ্যে কুয়াকাটায় জমি কিনে সেখানে গড়ে তুলতে চান হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। স্বামী দোস্ত মাহমুদও পাশে আছেন এই পথচলায়।
মা-ছেলের উদ্যোগ গ্রামে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছে। তাদের স্বপ্ন শুধু নিজেদের সীমিত নয়, বরং পুরো এলাকায় নতুন কর্ম