মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

সাতক্ষীরায় ৪ স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ, ছবি তুলতে গেলে শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চার দফা দাবিতে শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির কারণে সাতক্ষীরার চারটি সরকারি স্কুলে দ্বিতীয় দিনেও বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ ছিল। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। 

এদিকে, পরীক্ষার পক্ষে-বিপক্ষে মতানৈক্যের ফলে সৃষ্ট সংঘর্ষের ফুটেজ নেওয়ায় সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী। 

শিক্ষকরা বলছেন, চার দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি এবং দাবি পূরণ না হলে চলমান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার দাবি শিক্ষকদের। 

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তারের পিতা আমিনূর রহমান জানান, শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে কিন্তু পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ও মানসিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে। অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে তাদের ভবিষ্যৎ।

সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু জানান, একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একমত। কিন্তু পরীক্ষা বন্ধ করে এ ধরনের আন্দোলন করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার বেলা এগারোটার দিকে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার পক্ষে-বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের দুটি দল তৈরি হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকজন আহত হয়। এ সময় মারামারির ফুটেজ ধারণ করলে সাংবাদিকদের দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তেড়ে আসে। 

এমনকি তারা ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ সাংবাদিকদের মুছে দিতে বাধ্য করে। এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরবর্তীতে শহরের মিনি মার্কেটে অবস্থিত সাংবাদিকদের অফিসে সাংবাদিকদের ওপরে চড়াও হয় ও আস্ফালন করতে থাকে। এমনকি সাংবাদিকদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করতে দেখা যায় তাদের।
 
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের কোমলমতি কিশোর শিক্ষার্থীরা তুচ্ছ বিষয়ে এমন ভয়ানক আচরণ করতে পারে, সেটা ভাবতেও লজ্জা লাগে।’ শিক্ষার্থীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করতে জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি। 

Link copied!